হযরত থানভী রহ.-এর বাপ-দাদা ফারুকী ছিলেন এবং নানা আলবী ছিলেন। তার জন্ম বৃত্তান্ত অলৌকিক ঘটনার সহিত সম্পৃক্ত। তার পিতার কোন পুত্র সন্তানই জীবিত থাকত না।
তিনি একটি জটিল চরম রোগের শিকার হয়ে ডাক্তারের অভিমতে এমন এক ঔষধ সেবন করেন যাতে তার প্রজন্মের সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেন।এতে থানভী রহ. -এর মাতা দুঃশ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়েন। এই কারণেই তিনি বিশিষ্ট বুজুর্গ হাফেয গোলাম মুরতাযা পানিপথী রহ.-এর শরণাপন্ন হন।তিনি ছিলেন খোদার প্রেমে আত্মহারা এক আল্লাহ ওয়ালা।
তিনি বললেন,ওমরও আলীর সাথে সংযুক্ত করে নাম রাখার দরকার নাই।এবার পুত্র সন্তান জন্ম হলে হযরত আলীর সাথে মিলিয়ে নাম রাখ। ইনশাআল্লাহ জীবিত থাকবে।
আর ফলত তাই হয়েছিল। জন্ম লাভ করেন হযরত আশরাফ আলী থানবী ও তার ছোট ভাই আকবর আলী এবং তারা উভয়েই দীর্ঘ জীবন লাভ করেন।
শৈশব থেকেই থানভীর চাল-চলন ছিল অত্যন্ত সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন। তিনি কখনো বাইরের ছেলেদের সঙ্গে মিলামিশা করতেন না।
ছোট ভাই আকবর আলীর সাথে নিজ বাড়ীর সীমার মধ্যে খেলাধুলা করতেন।বাল্যকালে তিনি অত্যন্ত শান্ত ও সুবোধ ছিলেন। সেজন্য অমুসলিমরাও তাঁকে অত্যন্ত স্নেহের চোখে দেখত।
তার বয়স যখন ১২/১৩ তখন থেকেই শেষ রাত্রে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন। তার চাচী আম্মা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি নিয়মিত নামায পড়তেন। থানভী রহ. যখন বাড়ীর বাইরে যেতেন তখন আল্লাহর কুদরতে আকাশের মেঘমালা তাঁকে ছায়া দিত।
থানভী রহ. কুরআন শরীফ ও প্রাথমিক উর্দু -ফার্সি কিতাব মীরাঠে শিক্ষা লাভ করেন।পরে থানা ভবন এসে নিজ মামা ওয়াজিদ আলীর নিকট শিক্ষা লাভ করেন।এরপর আরবীতে উচ্চ শিক্ষা লাভের আশায় ১২৯৫হিজরীতে বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ মাদারে ইলমী দারুল উলুম দেওবন্দে গমন করেন। মাত্র ৫ বৎসরেই দেওবন্দের শিক্ষা সমাপ্ত করে ফিরে আসেন।
তার বয়স তখন মাত্র ১৯। তিনি এসময়ের মধ্যে ইলমে হাদীছ, তাফসীর, আরবী সাহিত্য, তত্ত্ব -বিজ্ঞান, নীতিশাস্ত্র,নৈতিক চরিত্র, ইতিহাস, আধ্যাত্মিক চিকিৎসা তথা আত্মশুদ্বি ইত্যাদি অসংখ্য বিষয়ের জটিল কিতাবাদী - অতি কৃতিত্বের সাথে অধ্যয়ন করেন।
info@isabahbd.com
01326344768
+01326344768
347, Concept Tower, Panthapath, Dhaka
Copyright © 2023 All rights reserved | This application is made by ZOOM IT