আল্লাহর প্রিয় হতে চাও?
‘কীভাবে আল্লাহর প্রিয় হবো?’ বইটির পাতায় পাতায় পাবে, আল্লাহর প্রিয় হবার বেশকিছু সহজ-সরল আমল। পাবে এমন বহু চমৎকার নাসিহা, যা অন্তরকে আল্লাহর স্মরণে বিগলিত করবে। অভিমুখী করবে তোমাকে দয়াময়ের দিকে।
* বান্দার সর্বোত্তম জীবন তো তা-ই, যা অতিবাহিত হয় আল্লাহর সান্নিধ্যে। যদি বলো, আল্লাহর সান্নিধ্যে কীভাবে জীবন কাটে? আমি বলব :
– তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে, তাঁর বেঁধে দেওয়া সীমা না ডিঙিয়ে।
– তাঁর সব ফয়সালা সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়ে।
– নির্জনেও তাঁর আদব বজায় রেখে।
– সর্বদা হৃদয়ে তাঁর অস্তিত্ব অনুভব করে।
– তাকদিরের ওপর কোনো আপত্তি না করে।
তুমি দুআ থেকে বিরত হয়ো না। সদা ইবাদতে মশগুল থাকো। যদি এটি অব্যাহত রাখতে পারো, তিনি তোমার হৃদয়ে তাঁর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেবেন। তখন তুমি সত্যিকার অর্থেই তাঁর ওপর ভরসা করতে পারবে। এই ভালোবাসাই তোমাকে পৌঁছে দেবে তোমার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। আর এই হৃদ্যতার ফল তুমি খুব দ্রুতই পেতে শুরু করবে। যা তোমাকে দান করবে সিদ্দিকিনের পুণ্যময় জীবন।
শাইখ খালিদ আল-হুসাইনান রহ.-এর অমূল্য গ্রন্থ ‘কাইফা নারতাকি ফি মানাজিলিস সায়িরিনা ইলাল্লাহ’-এর সরল অনুবাদ ‘কীভাবে আল্লাহর প্রিয় হবো?
Book Name |
কীভাবে আল্লাহর প্রিয় হবো? (হার্ডকভার) |
Author |
শাইখ খালিদ আল-হুসাইনান রহ. |
Publisher |
রুহামা পাবলিকেশন |
ISBN |
|
Edition |
|
Total Pages |
358 |
Language |
Bangla |
শাইখ আবু যাইদ খালিদ বিন আব্দুর রহমান আল-হুসাইনান আল-কুয়েতী রহ.। আরব বিশ্বের প্রখ্যাত এ দাঈ সবার কাছে খালিদ আল-হুসাইনান নামেই সমধিক পরিচিত। অত্যন্ত বিনয়ী এ আলেমে দ্বীন তাঁর কথার মাধুর্যতায় যে কোনো শ্রোতারই মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটাতে পারতেন। জন্ম কুয়েতেই। লেখাপড়া করেছেন সৌদি আরবের বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ ‘ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সাউদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’তে; শরীয়াহ আইনে। জীবনের সোনালি সময়গুলো ব্যয় করেন কুয়েতের ‘সাআদ আব্দুল্লাহ সামরিক একাডেমী’র সরকারি মাসজিদের ইমাম ও খতীব হিসেবে। দাওয়াত ও জিহাদের হৃদয়ছোঁয়া বয়ানে রীতিমতো ঝড় তুলতেন কুয়েতের ইসলামপ্রিয় নিরাপত্তা বাহিনীর দেহমনে। সামরিক মহলে তাঁর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছিল দেখে তাঁর ইসলামি চিন্তাধারার প্রভাব থেকে সেনাবাহিনীকে মুক্ত রাখতে এক সময় সরকার তাঁকে সরিয়ে দেয় সেখান থেকে। পাঠিয়ে দেয় কুয়েতের কোনো এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাসজিদুল আলবানীতে; ইমাম হিসেবে। এতেই তিনি দমে যাননি। চালিয়ে গেছেন তাঁর দাওয়াতি কার্যক্রম। কুয়েতের রেডিওতে আলোচনা করেছেন নিয়মিত। যুক্ত ছিলেন দ্বীনের প্রকৃত অনুসারীগণের সাথেও। দাওয়াতের বন্ধুর পথে নিরলস কাজ করে যাওয়া এ মহান মানুষটি সারা পৃথিবীর দাঈদের জন্য এক অনুপম আদর্শ হয়ে থাকবেন। পরে তিনি খোরাসানে হিজরত করেন এবং জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আল্লাহর পথে জীবনবাজি রেখে দাওয়াত ও জিহাদের কাজ করে যান।
২০১২ সালে তিনি জীবনের অন্তিম অভিলাষ- শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেন। তাঁর রচনাবলির মধ্যে ‘দৈনন্দিন সহস্রাধিক সুন্নাত’ বইটি বিশ^জুড়ে সমাদৃত; যা বাংলা ভাষায়ও অনূদিত হয়েছে। ‘দৈনন্দিন সসহস্রাধিক আহ্বান’, ‘নারীবিষয়ক সহ¯্রাধিক প্রশ্নের জবাব’, ‘যেমন ছিলেন তাঁরা…’ ‘আলোকিত জীবনের প্রত্যাশায়…, ‘কীভাবে আলেমগণ এগিয়ে যাবেন’ও তাঁর অন্যতম রচনা। এছাড়া তাঁর বেশ কিছু অডিও লেকচারও রয়েছে। তাঁর রেখে যাওয়া এসব উত্তরাধিকার ইসলামপ্রিয় পাঠকদের মনে যথেষ্ট খোরাক যোগাবে আশা করি। মহান আল্লাহ লেখকের দ্বীনি সব খেদমতকে কবুল করুন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসের উঁচু মর্যাদা দান করুন। আমীন।